বাংলাদেশের জাতীয় খেলার নাম কাবাডি।
কাবাডি উপমহাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। বর্তমানে কাবাডি আন্তর্জাতিক ভাবেও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই খেলা সাধারণত কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সব ধরনের ছেলেরা খেলে থাকে। সাধারণত বিশেষ উৎসব বা পালা-পার্বণে বেশ আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়। কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়েছে। পূর্বে কেবল মাত্র গ্রামে এই কাবাডি খেলার প্রচলন দেখা গেলেও বর্তমানে সব জায়গায় কাবাডি খেলা প্রচলিত হয়েছে।
কাবাডি ১২.৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থের আয়তাকার মাঠে প্রতি দলে ১২ জন করে খেলোয়াড় নিয়ে অনুষ্ঠিত দুটি দলের খেলা। এ খেলায় এক পক্ষের খেলোয়াড় দম ধরে প্রতিপক্ষের কোর্টে হানা দিয়ে দম থাকা অবস্থায় স্পর্শ কিংবা ধস্তাধস্তির পর নিজ কোর্টে ফিরে আসতে পারলে পয়েন্ট অর্জন করে। প্রতি দলে ১২ জন করে খেলোয়াড় থাকলেও ৭ জন খেলোয়াড় কোর্টে খেলে এবং বাকি ৫ জন অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে কোর্টের বাইরে থাকে। বিপক্ষের কোর্টে হানা দিতে যাওয়ার সময় খেলোয়াড় স্পষ্ট ও শ্রুতিগোচরভাবে কাবাডি কাবাডি শব্দ একদমে বা একটানা উচ্চারণ করতে থাকে। একে ক্যান্ট বা ডাক বলে। প্রতিযোগিতার সময় দুই অর্ধ মিলিয়ে মোট ৪০ মিনিট ও দুই অর্ধের মাঝামাঝি ৫ মিনিট বিরতি। কোনো পক্ষ তার বিপক্ষের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে আউট করার সুবাদে একটি করে পয়েন্ট লাভ করে, বিপক্ষ দলের সমস্ত খেলোয়াড়কে আউট করতে পারলে লোনা বাবদ অতিরিক্ত ২ পয়েন্ট পায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যে দল বেশি পয়েন্ট অর্জন করবে, খেলায় সে দলই জয়ী হবে।
বাংলাদেশে কাবাডি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। এ খেলা গ্রামাঞ্চলে অধিকতর জনপ্রিয় হওয়ায় একে গ্রামবাংলার খেলাও বলা হয়।
কাবাডি খেলাটি আবার কোন কোন জায়গায় হাডুডু খেলা নামে ও পরিচিত। এর কোনো সঠিক নিয়মকানুন না থাকায় বিভিন্ন স্থানে এটি বিভিন্ন নিয়মে অনুষ্ঠিত হতো।
১৯৭২ সালে হাডুডু খেলাকে কাবাডি নামকরণ করা হয় এবং এ খেলাকে জাতীয় খেলার মর্যাদা দেওয়া হয়।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। ফেডারেশন এ খেলার বিভিন্ন নিয়মকানুন তৈরি করে।